About Me
- Back to Home »
- telecom news »
- দুই বাঘ একসাথে .... বাংলালিংক আর সাকিব এবার হবে নতুন কিছু
Posted by : Unknown
Saturday, February 1, 2014
এখন থেকে সাকিব আল হাসান বাংলালিংকের নানা ধরনের প্রচারণামূলক কাজে অংশ নেবেন। পাশাপাশি বাংলালিংকের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করতে সাকিবকে দেখা যাবে নানা আয়োজনে। বাংলালিংকের সিইও জিয়াদ সাতারা রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টইন-এ এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ, চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার ইয়াসির আব্দেল হাকিম, চিফ টেকনোলজি অফিসার পেরিহেন এলহামি, মার্কেটিং ডিরেক্টর সোলায়মান আলম এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংকের সিইও জিয়াদ সাতারা বলেন, “বাংলালিংক এবং সাকিব আল হাসানের মধ্যে এই নতুন অধ্যায় যেন দুই বাঘের এক সঙ্গে হয়ে নতুন কিছু অর্জনের পথে প্রথম ধাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেট অনন্য উচ্চতার নাম। এখানে গলির ভেতরে ছোট্ট শিশুরা টেনিস বলে টেপ জড়িয়ে যেমন ক্রিকেট খেলে, তেমনি পেশাদার ক্রীড়াবিদরাও এর ভক্ত। সবাই এখানে ক্রিকেট দেখতে ভালোবাসে। আমরা খুব গর্বিত যে সাকিব আল হাসান এখন থেকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বাংলালিংকের প্রতিনিধিত্ব করবেন।”
এই উদ্যোগ সত্যিকার অর্থে এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে নেয়া বিশাল পদক্ষেপ, যাকে বাংলাদেশ ভালোবাসে এবং উৎসবমুখর হয়ে ওঠে তার প্রতিটি সাফল্যে। ক্রিকেট বাংলাদেশের সবার কাছে অনন্য ভালোবাসার নাম। বাংলালিংকের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের এই নতুন জুটি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে নতুন বন্ধন সৃষ্টি করবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইলফোন অপারেটর হলো বাংলালিংক; যাদের প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখের মতো গ্রাহক রয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলালিংক হচ্ছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ভিম্পেলকম লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
বিশ্বের খ্যাতিমান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন আর বল করেন অফ স্পিন। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এবং পরে আবার ২০১২ সালের মার্চ থেকে এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবেই আছেন সাকিব আল হাসান। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট ক্রিকেটেরও শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার হন সাকিব। অলরাউন্ডার হিসেবে বর্তমানে তিনি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ র্যাং কিং-এ দ্বিতীয়, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ র্যাং কিং-এ দ্বিতীয় এবং আইসিসি টি-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ র্যাং কিং-এ চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন। ২০০৯ সালে সাকিব উইজডেনের ‘টেস্ট প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে মনোনীত হন। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের কৃতিত্বও সাকিবের। তাকে বাংলাদেশের যেকোন সময়ের সেরা ক্রিকেটার হিসেবেই মনে করেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।